আমের মৌসুম চলাকালীন অনেকেই কাঁচা আম সংরক্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে কাঁচা আমের আচার তৈরি করেন। আমরা ছোট বড় সবাই কাঁচা আমের আচার ((Mango Pickle) পছন্দ করি! খিচুরি, পোলাও, গরম ভাত ও ডাল ছাড়াও বিভিন্ন খাবারের সাথে এই আচার পরিবেশন করা যায়। চলুন আজ কাঁচা আমের ঝাল আচার তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নেই।
কাঁচা আমের আচার বানানোর রেসিপিতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন? জেনে নিন নিচের লিস্ট থেকে:
কিভাবে তৈরী করবেন কাঁচা আমের ঝাল আচার রেসিপি? নিচের ধাপগুলো ফলো করুন:
আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। খোসা ছাড়ানো ছাড়াই মাঝখান থেকে কেটে বীজ ফেলে দিন। এরপর আমের টুকরোগুলোকে আপনার ইচ্ছেমতো আকারে কেটে নিন।
একটি বড় বাটিতে পানি নিয়ে তাতে আমের টুকরোগুলো ১৫-২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি বদলে আমগুলো আবার ধুয়ে নিন এবং শুকনো ট্রেতে ছড়িয়ে রোদে শুকিয়ে নিন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে না যায়।
একটি প্যানে মৌরি, কালো সরিষা, শুকনো মরিচ, কালো জিরা, পাঁচফোড়ন একসাথে টেলে নিন। তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিন।
গুঁড়ো মশলায় রসুন বাটা ও হলুদ গুঁড়া মেশান। তারপর সাদা ভিনেগার দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
একটি পাত্রে এক কাপ সরিষার তেল গরম করে মশলার মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। নাগা মরিচের টুকরোগুলোও দিয়ে দিন এবং ১০ মিনিট কষিয়ে নিন।
এরপর তাতে আমের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পরে চিনি যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান।
মাঝারি আঁচে ৪০ মিনিট ধরে আচারটি জ্বাল দিন। এই সময়ে আম থেকে যে পানি বের হবে তা দিয়েই আম সিদ্ধ হবে, তাই আলাদা করে পানি দিতে হবে না। ৪০-৫০ মিনিট পর আম সিদ্ধ হয়ে এলে স্বাদমতো লবণ-চিনি চেক করে নিন এবং প্রয়োজনে আরও দিন। এরপর আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
শেষে কাঠির সাহায্যে কয়েকটি আমের টুকরো ভেঙে দিন যাতে মশলার ফ্লেভার আমের ভেতরে ঢুকতে পারে।
যারা ঝালের সাথে টক-মিষ্টি ফ্লেভার পছন্দ করে থাকে তাদের জন্য Eastern Pickle-এ রয়েছে মায়ের হাতের টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদে তৈরী আমের আচার (Mango Pickle)। যা আপনার মুখের রুচিকে আরো বাড়িয়ে দিবে।
দেখলেন কত সহজেই কাঁচা আমের ঝাল আচার বানানো যায়? খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে দিতে কাঁচা আমের ঝাল আচার নানান মুখরোচক খাবারের সাথে পরিবেশন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণযোগ্য এই আচার একবার তৈরি করলে সারা বছর জুড়ে এর স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
তাহলে আজই কাঁচা আমের আচার তৈরি করার পদ্ধতি অনুসরণ করে ট্রাই করে ফেলুন। বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ভুলবেন না!
Share - Facebook
ঘি হজমশক্তি বাড়ায়, ওজন কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা উন্নত করে, এবং ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী। এটি ভাত, রুটি, ডাল ও মিষ্টান্নে স্বাদ বাড়ায় ও পুষ্টি যোগ করে। ঘি এর পুষ্টিগুনাগুণ পেতে পরিমিত পরিমাণে ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
জলপাইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার খুব সহজে তৈরি করা যায় এবং এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। আচার তৈরি করতে ১ কেজি জলপাই, সরিষার তেল, তেজপাতা, শুকনা মরিচ, পাঁচফোড়ন, চিনি, লবণ এবং ভিনেগার ব্যবহার করা হয়।